নারীরা বেশি দিন বাঁচে কেন?
নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি দিন বাঁচেন। পাঁচ থেকে ছয় বছর বেশি। অসংখ্য পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিভিন্ন জৈবিক ও স্বাস্থ্যগত কারণে এমনটা হয়।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। এতে নারীদের দীর্ঘায়ু হওয়ার কিছু কারণ বলা হয়েছে।
ভ্রূণ যথাযথভাবে বড় হয়
একটি নারী ভ্রূণ পুরুষ ভ্রূণের তুলনায় জরায়ুতে ভালোভাবে বড় হয়। নারী ভ্রূণ শারীরিকভাবে একেবারে পরিপক্ব হয়েই জন্ম নেয়। এটা দীর্ঘ জীবনে সাহায্য করে। আর সেখানে একটি পুরুষ শিশুর ভ্রূণের শারীরিক পরিপক্বতা জন্মের পর পর্যন্তও চলতে থাকে।
বংশবৃদ্ধি করে
নারীরা বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং হিউম্যান জিনোম পদ্ধতিতে অবদান রাখে। এটিও নারীদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার কারণ বলে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়।
ক্রোমোজমের পার্থক্য
পুরুষের তুলনায় নারীদের রয়েছে দীর্ঘজীবী টেলোমিরিস (ক্রোমোজমের ভেতরের একটি অংশ)। এটি ক্রোমোজমকে সুরক্ষা দেয়। টেলোমিরিস কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। দীর্ঘজীবী টেলোমিরিস থাকার কারণেও নারী পুরুষের চেয়ে বেশি বাঁচে।
হরমোনগত কারণ
পুরুষের তুলনায় নারীদের হরমোনগুলো অনেকটা আলাদা থাকে। এটা তার স্বাস্থ্যকে নিখুঁত রাখতে কাজ করে। যেমন : শিশু জন্মদানের পর নারীরা থাইরক্সিন উৎপাদন করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্য ভালো করে। এটিও নারীদের দীর্ঘজীবী হওয়ার একটি কারণ।
হৃদরোগ কম হয়
নারী শরীরে ইসট্রোজেন হরমোন থাকে। এই হরমোন ধমনি ও রক্তনালিকে ভালো রাখতে কাজ করে। এতে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।
শক্ত সামাজিক বন্ধন
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় বলা হয়, যারা সামাজিকভাবে বেশি যোগাযোগ করে বা যাদের সামাজিক বন্ধন বেশি, তারা ৫০ শতাংশ বেশি দীর্ঘজীবী হয়। নারীরা সাধারণত পুরুষের তুলনায় সামাজিক যোগাযোগ বেশি বজায় রাখে। এটিও দীর্ঘ জীবনের কারণ।
কম ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন
নারীরা পুরুষের তুলনায় কম ধূমপান বা কম মদ্যপান করে। আর ধূমপান ও মদ্যপান বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে। এতে আয়ু কমে যায়। নারীরা এ থেকে অনেকটাই দূরে থাকে বলে দীর্ঘজীবী হয়।
স্বাস্থ্য সচেতনতা
নারীরা স্বাস্থ্যের বিষয়ে পুরুষের চেয়ে বেশি সচেতন। সাধারণত তারা প্রাথমিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো পুরুষের তুলনায় বেশি নেয়। এটিও দীর্ঘজীবনের একটি রহস্য।
বেশি শারীরিক পরিশ্রম
পুরুষের তুলনায় নারী শারীরিক কাজ বেশি করে। অনেক পুরুষই হয়তো শুধু অফিসে কাজ করে। হাঁটাচলা বা কায়িক পরিশ্রম কম করে। এ তুলনায় নারীরা ঘরে-বাইরে সমানে কাজ করে। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় বেশি কায়িক পরিশ্রম করে নারী। এটি নারীদের দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে।
Comments
Post a Comment