কোনটি ভালো— ফার্মের ডিম নাকি দেশি ডিম?
ফার্মের ডিম |
ডিম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। একটি ডিমের গড় ওজন ৬০ গ্রাম। ডিমের সাদা অংশের
১১ ভাগ ও কুসুমের ১২ ভাগই হচ্ছে প্রোটিন। একটি ডিমে ৬ গ্রাম করে প্রোটিন ও
ফ্যাট থাকে। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, লোহা ১ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম,
খনিজ পদার্থ ৮ গ্রামসহ দেহ গঠনের জন্য একটি ডিমে রয়েছে আটটি অ্যামাইনো
এসিড। মোটকথা, ডিম একটি উচ্চ খাদ্যমূল্যসম্পন্ন খাদ্য। ডিমে ভিটামিন সি
বাদে অন্য সব ভিটামিন রয়েছে।
সন্দেহাতীতভাবে পুষ্টিকর প্রমাণিত হওয়া
সত্ত্বেও এই ডিম নিয়ে অনেক কুসংস্কার রয়েছে। তেমনি একটি ভ্রান্ত ধারণা
প্রচলিত রয়েছে ফার্মের ডিম নিয়ে। অনেকেই মনে করেন, ফার্মের ডিম খেলে দেহের ক্ষতি হবে। দেশি ডিমই তাঁদের
পছন্দ। কিন্তু বাস্তবে ঘটনাটি একেবারেই উল্টো। ফার্মে হাঁস-মুরগির
বিজ্ঞানসম্মত রক্ষণাবেক্ষণ হয় বলে এদের ডিমের পুষ্টিমূল্য অনেক বেশি, দামেও
কম। এদের কুসুমের রং ফ্যাকাসে। কারণ, ফার্মের হাঁস-মুরগিকে সরাসরি ভিটামিন
এ খাওয়ানো হয়। অন্যদিকে দেশি মুরগিরা যেসব শস্যদানা ও শাকসবজি খুঁটে খায়,
তা থেকে ভিটামিন এ’র প্রাক অবস্থা, অর্থাৎ ক্যারোটিন তারা পায়। এই
ক্যারোটিন টকটকে লালাভ হলুদ রঙের। এই ক্যারোটিন লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ-তে
পরিণত হয়।
কিন্তু অধিকাংশ লোকই কুসুমের লালাভ হলুদ রং দেখেই দেশি ডিম পছন্দ করেন
এবং পুষ্টিকর মনে করেন। প্রকৃতপক্ষে দেশি ডিম ততটা পুষ্টিকর নয়। দেশি ডিমের
চেয়ে ফার্মের ডিমই বেশি পুষ্টিকর। হতে পারে দেশি ডিম খেতে সুস্বাদু।
ফার্মের ডিম ফ্যাকাসে রঙের বলে ভালো নয় আর দেশি ডিম বেশি ভালো—এ ধারণা
পুরোপুরি ভুল।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।
For More Health Information; Click Here.
Comments
Post a Comment